সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

যিহোবার সাক্ষিরা কি ইহুদিরাষ্ট্রপন্থী?

যিহোবার সাক্ষিরা কি ইহুদিরাষ্ট্রপন্থী?

 না, যিহোবার সাক্ষিরা ইহুদিরাষ্ট্রপন্থী নয়। যিহোবার সাক্ষিরা খ্রিস্টান আর তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি হল শাস্ত্র। কিছু ধর্ম শিক্ষা দেয় যে, সমস্ত যিহুদি প্যালেস্টাইনে সমবেত হবে আর এই বিষয়টা শাস্ত্রীয় ভবিষ্যদ্‌বাণীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু যিহোবার সাক্ষিরা এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে না। তারা এটা বিশ্বাস করে না যে, এই রাজনৈতিক আন্দোলন সম্বন্ধে শাস্ত্রে সুস্পষ্টভাবে ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছিল। এমনকী, শাস্ত্র কোনো মানবসরকারকে সমর্থন করে না অথবা কোনো সাম্প্রদায়িক দলকে অথবা লোকেদেরকে অন্যদের চেয়ে উচ্চে তুলে ধরে না। যিহোবার সাক্ষিদের অফিশিয়াল পত্রিকা প্রহরীদুর্গ সুস্পষ্টভাবে বলে যে: “ইহুদিরাষ্ট্র আন্দোলনের পিছনে শাস্ত্রীয় কোনো ভিত্তি নেই।”

 দি এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা ইহুদিরাষ্ট্রপন্থী সম্বন্ধে বলে যে, এটা হল এক “যিহুদি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, যেটার লক্ষ্য হচ্ছে প্যালেস্টাইনে যিহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও সমর্থন করা।” এই আন্দোলনের মূলে রয়েছে ধর্ম এবং রাজনীতি। যিহোবার সাক্ষিরা ইহুদিরাষ্ট্র আন্দোলনকে কোনো ধর্মীয় মতবাদ হিসেবে সমর্থন করে না এবং তারা ইহুদিরাষ্ট্র আন্দোলনের বিষয়ে পুরোপুরি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখে।

 যিহোবার সাক্ষিদের সংগঠন পুরোপুরি ধর্মীয় সংগঠন এবং এই সংগঠন ইহুদিরাষ্ট্র আন্দোলন-সহ কোনো ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকেই সমর্থন করে না। যিহোবার সাক্ষিরা যে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ, সেই ব্যাপারে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে আর কোনো কোনো এলাকার সাক্ষিরা এমনকী সেই নিরপেক্ষতা বজায় রাখার কারণে প্রচণ্ড তাড়নার মুখোমুখি হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, একমাত্র ঈশ্বরের স্বর্গীয় রাজ্যই এই পৃথিবীতে স্থায়ীভাবে শান্তি নিয়ে আসবে; কোনো মানবসরকার অথবা আন্দোলন তা সম্পাদন করতে পারবে না।

 যিহোবার সাক্ষিদের ধর্মীয় বিশ্বাসের একটা মৌলিক নীতি হল, তারা যেখানেই বাস করুক না কেন, তারা জগতের সরকারের আইনের প্রতি বাধ্য থাকে। তারা সরকারি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে না অথবা সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নেয় না।