সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

জেগে থাকুন!

স্কুলে বন্দুক হামলা—এই সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

স্কুলে বন্দুক হামলা—এই সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

 ২৪ মে, ২০২২ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের উভাল্‌দে নামে একটা ছোটো শহরে এক দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটে। দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস্‌ সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘রব এলিমেন্টরি স্কুলে একজন বন্দুকধারী ১৯ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং দু-জন শিক্ষিকাকে হত্যা করে।’

 দুঃখের বিষয় হল এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা খুবই সাধারণ হয়ে গিয়েছে। ইউ.এস.এ. টুডে রিপোর্ট দেয় যে, কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে, “গত বছর বিভিন্ন স্কুল প্রাঙ্গণে ২৪৯ বার বন্দুক হামলা হয়েছে আর এটা ১৯৭০ সালের পর থেকে এই বছরেই সবচেয়ে বেশি বার হয়েছে।”

 কেন এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনাগুলো ঘটে? কীভাবে আমরা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি? আপনার কি মনে হয়, দৌরাত্ম্য কী কখনো শেষ হবে? বাইবেল এর উত্তর দেয়।

কেন পৃথিবীতে দৌরাত্ম্য বেড়ে যাচ্ছে?

 অনেকে ভাবে, ‘কেন ঈশ্বর বন্দুক হামলার মতো দুঃখজনক ঘটনাগুলো ঘটতে দেন?’ বাইবেলের উত্তর জানার জন্য “ভালো লোকেদের প্রতি মন্দ বিষয়গুলো ঘটে—কেন?” শিরোনামের প্রবন্ধটা পড়ুন।

কীভাবে আমরা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি?

  •   “আগে যে-সমস্ত বিষয় লেখা হয়েছিল, সেগুলো আমাদের নির্দেশনার জন্য লেখা হয়েছিল, যাতে আমরা শাস্ত্র থেকে ... সান্ত্বনার মাধ্যমে প্রত্যাশা লাভ করি।”—রোমীয় ১৫:৪.

 বাইবেলের নীতি আপনাকে এই পৃথিবীতে ঘটে চলা দৌরাত্ম্যপূর্ণ ঘটনাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। আরও তথ্য জানার জন্য “দৌরাত্ম্য কি কখনো শেষ হবে?” (ইংরেজি) শিরোনামের সজাগ হোন! পত্রিকা পড়ুন।

 সন্তানেরা যখন দুঃখজনক খবরগুলো দেখে, তখন কীভাবে বাবা-মায়েরা তাদের সাহায্য করতে পারে, সেই বিষয়ে পরামর্শ পাওয়ার জন্য “আতঙ্কজনক খবর এবং আপনার সন্তান” (ইংরেজি) শিরোনামের প্রবন্ধটা পড়ুন।

দৌরাত্ম্য কি কখনো শেষ হবে?

  •    “তিনি চাতুরী ও দৌরাত্ম্য হইতে তাহাদের প্রাণ মুক্ত করিবেন।”—গীতসংহিতা ৭২:১৪.

  •    “তাহারা আপন আপন খড়্গ ভাঙ্গিয়া লাঙ্গলের ফাল গড়িবে, ও আপন আপন বড়শা ভাঙ্গিয়া কাস্ত্যা গড়িবে; এক জাতি অন্য জাতির বিপরীতে আর খড়্গ তুলিবে না, তাহারা আর যুদ্ধ শিখিবে না।”—মীখা ৪:৩.

 মানুষ করতে পারে না এমন কাজগুলো ঈশ্বর করবেন। তাঁর স্বর্গীয় রাজ্য সমস্ত অস্ত্র নষ্ট করে দেবে এবং সমস্ত ধরনের দৌরাত্ম্য শেষ করবে। ঈশ্বরের রাজ্য কী নিয়ে আসবে, তা জানার জন্য ‘ঈশ্বরের রাজ্যের অধীনে “প্রচুর শান্তি হইবে,”’ শিরোনামের প্রবন্ধটা পড়ুন।