সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আরও বেশি লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন

আরও বেশি লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন

সমস্যা

আমরা যদি এমন ব্যক্তিদের থেকে নিজেদের আলাদা করে রাখি, যাদের আমরা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি, তা হলে আমরা বৈষম্যের মনোভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারি। যে-ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাদের মিল রয়েছে, শুধুমাত্র তাদের সঙ্গেই আমরা যদি বন্ধুত্ব করি, তা হলে আমরা এমনটা মনে করতে পারি যে, আমাদের চিন্তা করার ধরন, অনুভূতি এবং আমরা যা করি, সেটাই ঠিক।

বাইবেলের নীতি

“তোমরাও প্রশস্ত হও।”—২ করিন্থীয় ৬:১৩.

এর অর্থ কী? আমাদের আবেগ ও ভালোবাসা হৃদয় থেকে আসে। তাই, আমরা যদি শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করি যাদের সঙ্গে আমাদের মিল রয়েছে, তা হলে আমাদের হৃদয় প্রশস্ত না হয়ে সংকুচিত হয়ে যাবে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অবশ্যই আমাদের এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য এগিয়ে যেতে হবে, যারা আমাদের থেকে আলাদা।

আরও বেশি লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যেভাবে সাহায্য করে

আমরা যখন অন্যদের ব্যক্তিগতভাবে জানার চেষ্টা করি, তখন আমরা বুঝতে পারি, কেন তারা ভিন্নভাবে কাজ করে। আর আমরা যখন তাদের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করি, তখন আমরা ভুলেই যাই যে, তারা একটা আলাদা সম্প্রদায়ের অংশ। এর ফলে, আমরা তাদের মূল্যবান বলে মনে করি এবং তাদের প্রতি আরও বেশি সহানুভূতি দেখাই।

নাজারের উদাহরণ বিবেচনা করুন। একসময় তিনি অভিবাসীদের প্রতি বৈষম্যের মনোভাব অনুভব করেছিলেন। যে-বিষয়টা তাকে সাহায্য করেছিল, সেই সম্বন্ধে বলেন: “আমি তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলাম এবং কাজ করেছিলাম। লোকেরা এই অভিবাসীদের বিষয়ে যা বলত, সেটার বিপরীতে আমি যখন এই অভিবাসীদের সঙ্গে মেলামেশা করেছিলাম, তখন বুঝতে পারি, এরা একেবারেই আলাদা ছিল। আপনি যখন একটা অন্য সংস্কৃতির লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন, তখন আপনি বুঝতে পারবেন, তারা সবাই এক নয় এবং আপনি তাদের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করবেন আর ব্যক্তি-বিশেষ হিসেবে তাদেরকে মূল্যবান বলে মনে করবেন।”

আপনি যা করতে পারেন

আপনি সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ খুঁজুন, যাদের দেশ, বর্ণ কিংবা ভাষা আপনার থেকে আলাদা। এটা করতে পারেন

  • তাদের নিজের সম্বন্ধে কিছু বিষয় বলতে বলুন।

  • এক বেলার খাবারের জন্য তাদের নিমন্ত্রণ করুন।

  • তাদের জীবনকাহিনি শুনুন এবং তাদের কাছে কোন বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা খুঁজে বার করুন।

আপনি যদি তাদের অভিজ্ঞতাগুলো বোঝার চেষ্টা করেন, তা হলে আপনি বুঝতে পারবেন তারা কেন এইরকম ব্যক্তি। আপনি হয়তো তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি এক ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে পারবেন।