যোহনের প্রথম চিঠি ৫:১-২১

  • যিশুর প্রতি বিশ্বাস দ্বারা জগৎকে জয় করা যায় (১-১২)

    • ঈশ্বরকে প্রেম করার অর্থ ()

  • প্রার্থনার শক্তির উপর আস্থা (১৩-১৭)

  • এক দুষ্ট জগতে সতর্ক থাকো (১৮-২১)

    • সমস্ত জগৎ শয়তানের নিয়ন্ত্রণের অধীনে রয়েছে (১৯)

 যে-কেউ বিশ্বাস করে, যিশুই হলেন খ্রিস্ট, সে ঈশ্বরের সন্তান আর যে-কেউ পিতা ঈশ্বরকে প্রেম করে, সে ঈশ্বরের সন্তানদেরও প্রেম করে। ২  আমরা যখন ঈশ্বরকে প্রেম করি এবং তাঁর আজ্ঞাগুলো পালন করি, তখনই আমরা জানতে পারি যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তানদের প্রেম করি। ৩  ঈশ্বরকে প্রেম করার অর্থ এই, যেন আমরা তাঁর আজ্ঞাগুলো পালন করি; আর তাঁর আজ্ঞাগুলো বোঝাস্বরূপ নয়, ৪  কারণ যে-কেউ ঈশ্বরের সন্তান, সে জগৎকে জয় করে। আর আমরা যে জগৎকে জয় করতে পেরেছি, সেটা আমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। ৫  কে জগৎকে জয় করতে পারে? সে-ই কি নয়, যে বিশ্বাস করে, যিশুই হলেন ঈশ্বরের পুত্র? ৬  যিশু খ্রিস্টই সেই ব্যক্তি, যিনি জল ও রক্তের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন, কেবল জলের মধ্য দিয়েই নয়, কিন্তু জল ও রক্তের মধ্য দিয়ে। আর এই বিষয়ে পবিত্র শক্তি সাক্ষ্য দিচ্ছে, কারণ পবিত্র শক্তি সত্য প্রকাশ করে।* ৭  তিনটে বিষয় সাক্ষ্য দিচ্ছে: ৮  পবিত্র শক্তি, জল ও রক্ত; আর তিনটে বিষয়ের সাক্ষ্যই এক। ৯  আমরা যদি মানুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করে থাকি, তা হলে ঈশ্বরের সাক্ষ্য আরও কতই-না মহৎ! কারণ ঈশ্বর নিজে তাঁর পুত্রের বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ১০  যে ঈশ্বরের পুত্রের উপর বিশ্বাস করে, তার হৃদয়ে সেই সাক্ষ্য রয়েছে। ঈশ্বরের উপর যার বিশ্বাস নেই, সে তাঁকে মিথ্যাবাদী করে তুলেছে, কারণ ঈশ্বর তাঁর পুত্রের বিষয়ে যে-সাক্ষ্য দিয়েছেন, সেটার উপর সে বিশ্বাস করেনি। ১১  আর সেই সাক্ষ্য এই যে, ঈশ্বর আমাদের অনন্তজীবন দিয়েছেন আর এই জীবন আমরা তাঁর পুত্রের মাধ্যমে লাভ করি। ১২  যে পুত্রকে গ্রহণ করে, তার অনন্তজীবনের আশা রয়েছে; যে ঈশ্বরের পুত্রকে গ্রহণ করে না, তার অনন্তজীবনের আশা নেই। ১৩  তোমরা যারা ঈশ্বরের পুত্রের নামের উপর বিশ্বাস করেছ, তোমাদের আমি এইসমস্ত কথা লিখছি, যেন তোমরা জানতে পার যে, তোমাদের অনন্তজীবনের আশা রয়েছে। ১৪  আর আমাদের এই আস্থা রয়েছে* যে, ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে মিল রেখে প্রার্থনায় আমরা যা-কিছুই চাই না কেন, তিনি আমাদের প্রার্থনা শোনেন। ১৫  যেহেতু আমরা জানি, আমরা প্রার্থনায় যা-কিছুই চাই না কেন, তিনি আমাদের প্রার্থনা শোনেন, তাই আমরা এও জানি যে, আমরা তাঁর কাছ থেকে যা-কিছু চাই, সেগুলো পাব। ১৬  কেউ যদি তার ভাইকে এমন কোনো পাপ করতে দেখে, যা মৃত্যুর যোগ্য নয়, তা হলে সে তার জন্য প্রার্থনা করবে আর ঈশ্বর সেই ভাইকে জীবন দান করবেন।* হ্যাঁ, যারা মৃত্যুর যোগ্য পাপ করে না, তাদেরই তিনি জীবন দান করবেন। তবে, এমন পাপও রয়েছে, যা মৃত্যুর যোগ্য। যে এইরকম পাপ করে, তার জন্য অনুরোধ করার কথা আমি বলছি না। ১৭  সমস্ত মন্দ কাজই পাপ, কিন্তু এমন পাপও রয়েছে, যা মৃত্যুর যোগ্য নয়। ১৮  আমরা জানি, যে-কেউ ঈশ্বরের সন্তান, সে পাপ করে চলে না, কিন্তু যিনি ঈশ্বরের সন্তান,* তিনি সেই ব্যক্তিকে রক্ষা করেন আর শয়তান* তার ক্ষতি করতে পারে না। ১৯  আমরা জানি, আমরা ঈশ্বরের লোক, কিন্তু সমস্ত জগৎ শয়তানের* নিয়ন্ত্রণের অধীনে রয়েছে। ২০  তবে, আমরা এও জানি, ঈশ্বরের পুত্র এসেছেন আর তিনি আমাদের অন্তর্দৃষ্টি* দিয়েছেন, যাতে আমরা সত্য ঈশ্বর সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করতে পারি। আর তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টের মাধ্যমে আমরা তাঁর সঙ্গে একতাবদ্ধ আছি। হ্যাঁ, তিনিই সত্য ঈশ্বর এবং অনন্তজীবনের উৎস। ২১  প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা প্রতিমাদের কাছ থেকে নিজেদের রক্ষা করো।

পাদটীকাগুলো

আক্ষ., “শক্তি হল সত্য।”
বা “আর আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি।”
এখানে সম্ভবত ক্ষমা করার বিষয়কে নির্দেশ করা হয়েছে।
অর্থাৎ ঈশ্বরের পুত্র যিশু খ্রিস্ট।
আক্ষ., “সেই দুষ্ট ব্যক্তি।”
আক্ষ., “সেই দুষ্ট ব্যক্তির।”
আক্ষ., “বোঝার ক্ষমতা; বুদ্ধি।”