সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বরের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলো দেখুন

ঈশ্বরের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলো দেখুন

ঈশ্বরের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলো দেখুন

 যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ২০০২ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর ছিল এক রোদঝলমলে উষ্ণ দিন। সেই দিন ৬,৫২১ জনের এক আন্তর্জাতিক দল প্যাটারসন এডুকেশনাল সেন্টার এবং সেই এলাকার যিহোবার সাক্ষিদের আরও দুটো ভবনে মিলিত হয়েছিল। লোকেরা ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অফ গিলিয়েডের ১১৩তম ক্লাসের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান দেখার জন্য মিলিত হয়েছিল। ছাত্রছাত্রীরা ১৪টা দেশ থেকে এসেছিল এবং বিগত পাঁচ মাস ধরে তারা ১৯টা দেশে মিশনারি হিসেবে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল, যেখানে তাদের কার্যভার দেওয়া হয়েছিল।

ক্যারি বারবার, যার বয়স প্রায় ৯৮ বছর এবং যিহোবার সাক্ষিদের পরিচালক গোষ্ঠীর একজন সদস্য, তিনি কার্যক্রমের সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। তিনি গিলিয়েড স্কুলের প্রায় ৬০ বছরের ঐতিহ্য সম্বন্ধে তুলে ধরেছিলেন, যে-স্কুলটি হাজার হাজার ব্যক্তিকে মিশনারি ক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য সুসজ্জিত করেছে। ভাই বারবার বলেন: “এটা একটুও বাড়িয়ে বলা হবে না যে, তাদের অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের কারণে চমৎকার ফল এসেছে। আক্ষরিকভাবে, সারা পৃথিবীর হাজার হাজার নম্র ব্যক্তি প্রশিক্ষিত মিশনারিদের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছে বলে, যিহোবার কাছে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে এবং তাঁর সত্য উপাসনা ও পবিত্র সেবাকে গ্রহণ করেছে।”

গিলিয়েডে যোগ দেওয়ার আগে অনেক ছাত্রছাত্রী তাদের পরিচর্যাকে বাড়িয়ে আগ্রহ প্রদর্শন করেছে। কানাডার এক বিবাহিত দম্পতি তাদের নিজেদের দেশে, চিনা লোকেদের এক বিরাট দলের কাছে যাওয়ার জন্য এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ম্যানডারিন ভাষায় ক্লাস করেছে। আরেক দম্পতি আলবেনীয় ভাষা শিখতে শুরু করে এবং পরবর্তী সময়ে আলবেনিয়াতে বাইবেলের প্রতি বৃদ্ধিরত আগ্রহের কথা ভেবে সেখানে যান। ক্লাসের অন্যান্যরা হাঙ্গারি, গুয়েতেমালা এবং ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে গিলিয়েডে আসে আর তারা সেই সমস্ত দেশগুলোতে সেবা করার জন্য গিয়েছে, যেখানে ঈশ্বরের বাক্যের শিক্ষকদের অনেক প্রয়োজন।

এরপর, আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং সুদূর প্রাচ্যের দেশগুলোতে কার্যভারের জন্য যাওয়ার আগে, সমস্ত গ্র্যাজুয়েট ছাত্রছাত্রীদের মনে রাখতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল যে, তারা যা কিছু করে যিহোবা তাতে মনোযোগ দেন।

ঈশ্বরের মতো করে বিষয়গুলো দেখুন

ভাই বারবার তার শুরুর মন্তব্যের পর, যুক্তরাষ্ট্রের শাখা কমিটির সদস্য ম্যাক্সওয়েল লয়িডকে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি এই বিষয়বস্তু তুলে ধরেছিলেন, “সমস্ত বিষয় ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে দেখুন।” ভাই লয়িড দায়ূদ এবং ঈশ্বরের পুত্র, যীশুর উদাহরণ তুলে ধরেছিলেন। (১ শমূয়েল ২৪:৬; ২৬:১১; লূক ২২:৪২) পাঁচ মাস ধরে বাইবেল অধ্যয়ন, ছাত্রছাত্রীদের ঈশ্বরের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলো দেখতে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, এই বিষয়টা মনে করিয়ে দেওয়ার পর, বক্তা জিজ্ঞেস করেছিলেন: “আপনাদের নতুন কার্যভারে লোকেদের বাইবেল অধ্যয়ন করানোর সময় আপনারা কি ঈশ্বরের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলো দেখতে তাদের সাহায্য করবেন?” আর অন্যদের পরামর্শ দেওয়ার বিষয়ে তিনি ছাত্রছাত্রীদের উপদেশ দিয়েছিলেন: “এইরকম বলবেন না, ‘আমার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, আমি মনে করি . . . ।’ এর পরিবর্তে তাদের বুঝতে সাহায্য করুন যে, ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গি কী। এই বিষয়গুলো করে, আপনি আপনার কার্যভারে যাদের সঙ্গে কাজ করবেন তাদের কাছে প্রকৃত আশীর্বাদ হয়ে উঠবেন।”

এর পরের কার্যক্রমে ছিলেন, পরিচালক গোষ্ঠীর একজন সদস্য গ্যারিট লস। “আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি,” এই বিষয়বস্তুর ওপর বলতে গিয়ে তিনি অনেক ঘটনার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করান, যখন যিহোবা তাঁর বিশ্বস্ত দাসদের বলেছিলেন, ‘আমি তোমার সহবর্ত্তী।’ (আদিপুস্তক ২৬:২৩, ২৪; ২৮:১৫; যিহোশূয়ের পুস্তক ১:৫; যিরমিয় ১:৭, ৮) আমাদের দিনে, আমরাও যিহোবার ওপর একই আস্থা রাখতে পারি, যদি আমরা বিশ্বস্ত থাকি। ভাই লস নির্দিষ্ট করে বলেছিলেন: “বাইবেল অধ্যয়ন করানোর জন্য কোন লোক খুঁজে পাবেন কি না, তা নিয়ে কি আপনি চিন্তিত? মনে রাখবেন যিহোবা বলেছিলেন: ‘আমি তোমার সহবর্ত্তী।’ আপনার পর্যাপ্ত বস্তুগত বিষয় থাকবে কি না, তা নিয়ে কি আপনি উদ্বিগ্ন? যিহোবা বলেছিলেন: ‘আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।’” (ইব্রীয় ১৩:৫) ভাই লস শেষে ছাত্রছাত্রীদের এই কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, যীশু তাঁর বিশ্বস্ত অনুসারীদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, শিষ্য তৈরির কাজে তিনি তাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকবেন।—মথি ২৮:২০.

“আপনি কি অগ্নির মধ্যে আপনার সুরক্ষা খুঁজে পাবেন?” এটা ছিল গিলিয়েড নির্দেশক লরেন্স বোয়েনের বিষয়বস্তু। তিনি বলেছিলেন যে, এদনে বিচার্য বিষয়গুলো উত্থাপিত হয়েছিল বলে, যারা যিহোবাকে একাগ্র ভক্তি দিতে চায়, তারা বিভিন্ন সমস্যার এবং কখনও কখনও অগ্নিময় পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছে। তিনি গ্র্যাজুয়েট ছাত্রছাত্রীদের যীশুর উদাহরণ অনুকরণ করতে উৎসাহ দেন, যিনি যিহোবার ওপর পুরোপুরি নির্ভর করে এবং যিহোবা তাঁর পুত্রের বাধ্যতাকে নিশ্চিত করতে যে-অগ্নিময় পরীক্ষাগুলো ঘটতে দিয়েছিলেন, সেগুলো মেনে নিয়ে প্রকৃত সুরক্ষা খুঁজে পেয়েছিলেন। (ইব্রীয় ৫:৮, ৯) যিহোবাকে স্বর্ণ শোধনকারীর সঙ্গে তুলনা করা যায়, যিনি খাদ দূর করার জন্য একেবারে সঠিক পরিমাণ তাপ প্রয়োগ করেন। অবশ্য, অগ্নি দ্বারা পরীক্ষিত বিশ্বাস পরিশোধিত স্বর্ণের চেয়ে অনেক গুণ বেশি সুরক্ষা দেয়। কেন? “কারণ পরিশোধিত বিশ্বাস যেকোন চাপ সহ্য করতে পারে,” ভাই বোয়েন বলেছিলেন, “এবং ‘শেষ’ পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য আমাদের সুসজ্জিত করে।”—মথি ২৪:১৩.

আরেকজন গিলিয়েড নির্দেশক মার্ক নুমার জিজ্ঞেস করেছিলেন: “আপনি কি অনুগ্রহপ্রাপ্ত হবেন?” তার বিষয়বস্তু ১ শমূয়েল ২:২৬ পদকে কেন্দ্র করে ছিল, যেখানে শমূয়েলকে “সদাপ্রভুর কাছে ও মনুষ্যদের কাছে অনুগ্রহ প্রাপ্ত” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। শমূয়েলের উদাহরণ বিবেচনা করার পর ভাই নুমার, যিনি এক দশকেরও বেশি সময় আফ্রিকায় মিশনারি সেবায় ব্যয় করেছেন, তিনি বলেন: “ঈশ্বর আপনাকে যে-কাজ দিয়েছেন, সেটার প্রতি অনুগত থেকে আপনিও ঈশ্বরের চোখে অনুগ্রহপ্রাপ্ত হতে পারেন। তিনি আপনাকে মূল্যবান মিশনারি কার্যভার দিয়েছেন।” ভাই নুমার এরপর গ্র্যাজুয়েট ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের তাদের কার্যভারকে ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া এক পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে দেখতে এবং তাদের কার্যভার সম্পাদন করতে গিয়ে ঈশ্বরের চিন্তাভাবনা গড়ে তুলতে উৎসাহ দিয়েছিলেন।

স্কুলের সময় ছুটির দিনগুলোতে লোকেদের সঙ্গে বাইবেলে বলা “ঈশ্বরের মহৎ মহৎ কর্ম্মের” বিষয়ে কথা বলার অনেক সুযোগ ছাত্রছাত্রীদের হয়েছিল। (প্রেরিত ২:১১) বস্তুত, তারা দশটা ভাষায় এই সম্বন্ধে বলতে পেরেছিল। ওয়ালেস লিভারেন্স, আরেকজন গিলিয়েড নির্দেশক একদল ছাত্রছাত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, যারা “‘ঈশ্বরের মহৎ মহৎ কর্ম্ম’ লোকেদের কাজ করতে উদ্দীপিত করে” নামক বক্তৃতায় তাদের অভিজ্ঞতা বলেছিল। তিনি বলেছিলেন: “পঞ্চাশত্তমীর দিনে আত্মা ওপরের কুঠুরির লোকেদের ‘ঈশ্বরের মহৎ মহৎ কর্ম্মের’ বিষয়ে বলতে প্রেরণা দিয়েছিল। সেই একই আত্মা আজকেও ঈশ্বরের সমস্ত বিশ্বস্ত দাসদের ওপর কাজ করে।” কেউ কেউ এমনকি আরও বেশি লোকের কাছে সাক্ষ্য দেওয়ার উদ্দেশে নতুন নতুন ভাষা শিখতে পরিচালিত হয়েছে।

ঈশ্বরের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলো দেখার জন্য বাস্তব পরামর্শ

শুরুর বক্তৃতাগুলোর পরে যুক্তরাষ্ট্রের শাখা অফিসের সদস্য গ্যারি ব্রো এবং উইলিয়াম ইয়াং, যে-দেশগুলোতে বর্তমানে মিশনারিরা কাজ করছে, সেই দেশগুলোর বিভিন্ন শাখা কমিটির সদস্যদের ও সেইসঙ্গে এক বিবাহিত দম্পতি, যারা ৪১ বছর ধরে মিশনারি সেবা করছে, তাদের সাক্ষাৎকার নেয়। একটা মন্তব্য ছিল: “যাদের চাহিদা খুব সামান্য তারা দীর্ঘ দিন টিকে থাকে। তারা কেন এসেছে সেই কারণের ওপর তাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রাখে। তারা জানে যে, তারা সুসমাচার প্রচার করার এবং লোকেদের যিহোবাকে জানতে সাহায্য করার জন্য এসেছে।”

পরিচালক গোষ্ঠীর আরেকজন সদস্য, ডেভিড স্প্ল্যান “আপনি অনেক দূরে যাচ্ছেন না!” বিষয়বস্তুর ওপর বক্তৃতা দিয়ে কার্যক্রম শেষ করেন। ৪৬ জন গ্র্যাজুয়েটকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে, এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলে তিনি কী বুঝিয়েছিলেন? তিনি ব্যাখ্যা করেন: “আপনি পৃথিবীর যেখানেই থাকুন না কেন, যতদিন পর্যন্ত আপনি বিশ্বস্ত থাকেন, ততদিন আপনি ঈশ্বরের গৃহে থাকবেন।” হ্যাঁ, সমস্ত বিশ্বস্ত খ্রীষ্টান, শারীরিকভাবে যেখানেই থাকুক না কেন, তারা ঈশ্বরের মহান আধ্যাত্মিক মন্দির বা গৃহের অংশে সেবা করছে, যে-মন্দির প্রথম শতাব্দীতে যীশুর বাপ্তিস্মের সময়ে অস্তিত্বে এসেছিল। (ইব্রীয় ৯:৯) উপস্থিত সকলের জন্য এটা জানা কত সান্ত্বনাদায়ক যে, যিহোবা পৃথিবীতে তাঁর সমস্ত বিশ্বস্ত দাসদের নিকটবর্তী! ঠিক যেমন যিহোবা তাঁর পুত্র পৃথিবীতে থাকাকালীন তাঁর প্রতি আগ্রহী ছিলেন, তেমনই আমাদের সবার প্রতি ও সেইসঙ্গে তাঁর প্রতি করা আমাদের সেবায় তিনি আগ্রহী, তা আমরা যেখানেই থাকি না কেন। তাই উপাসনার বিষয়ে আমরা কেউই কখনও কারও কাছ থেকে এবং যিহোবা ও যীশুর কাছ থেকে দূরে নই।

সারা পৃথিবী থেকে পাওয়া শুভেচ্ছা জানানোর পর কার্যভারের ঘোষণা দিয়ে এবং ক্লাস থেকে পাওয়া গিলিয়েড প্রশিক্ষণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লেখা চিঠি পড়ে, সভাপতি সঠিক উপসংহারের মাধ্যমে কার্যক্রম শেষ করেন। তিনি নতুন মিশনারিদের তাদের ভাল কাজ এবং যিহোবার সেবায় আনন্দ করে চলতে উৎসাহ দেন।—ফিলিপীয় ৩:১.

[২৩ পৃষ্ঠার বাক্স]

ক্লাসের পরিসংখ্যান

যতগুলো দেশ থেকে এসেছে: ১৪

যতগুলো দেশে তাদের পাঠানো হয়েছে: ১৯

মোট ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা: ৪৬

গড় বয়স: ৩৫.০

সত্যে থাকার গড় বছর: ১৭.২

পূর্ণ-সময়ের পরিচর্যার গড় বছর: ১৩.৭

[২৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অফ গিলিয়েডের ১১৩তম গ্র্যাজুয়েটিং ক্লাস

নিচের তালিকাতে সামনে থেকে পিছনে সারিগুলোকে সংখ্যান্বিত করা হয়েছে এবং প্রত্যেক সারিতে বাম দিক থেকে ডান দিকে নামগুলো তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে।

(১) লিখ্‌টহার্ট, এম.; হোসোয়ি, এস.; বার্কটোল্ড, এ.; লিম, কে.; আওকি, জে. (২) বাগিয়াশ, জে.; বুকে, এস.; বোসি, এ.; অলটন, জে.; এসকোবার, আই.; এসকোবার, এফ. (৩) স্টয়িকা, এ.; স্টয়িকা, ডি.; ফ্রিমুথ, এস.; কার্লসন, এম.; লিব্লান, আর. (৪) বিয়াঙ্কি, আর.; বিয়াঙ্কি, এস.; কামিন্‌স্কি, এল.; জোসেফ, এল.; প্যারিস, এস.; লিব্লান, এল. (৫) প্যারিস, এম.; স্কিডমর, বি.; হর্টন, জে.; হর্টন, এল.; স্কিডমর, জি. (৬) লিম, বি.; অলটন, জি.; কুয়িরিসি, ই.; লেনগ্লয়া, এম.; স্টাইনিংজা, এস.; আওকি, এইচ. (৭) লেনগ্লয়া, জে.; স্টাইনিংজা, এম.; বোসি, এফ.; কামিন্‌স্কি, জে.; বুকে, জে.; লিখ্‌টহার্ট, ই.; হোসোয়ি, কে. (৮) বাগিয়াশ, জে.; কুয়িরিসি, এম.; কার্লসন, এল.; ফ্রিমুথ, সি.; বার্কটোল্ড, ডব্লু.; জোসেফ, আর.